আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বিশ্ববাজারে কফির দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম কফি উৎপাদনকারী দেশ ব্রাজিলে খরা ও তুষারপাতে উৎপাদন ব্যাপকভাবে কমে যাওয়াতেই পণ্যটির দাম বাড়বে।
বুধবার (২৪ আগস্ট) ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর বিশ্ববাজারে কফির দাম প্রায় ৯০ শতাংশ বেড়েছিল। সেই দাম চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। তখন প্রতি পাউন্ড কফির দাম দাঁড়ায় ২ দশমিক ৫৯ ডলার। চলতি মৌসুমেও ব্রাজিলে ফলন কমেছে কফির।
একই অবস্থা হয়েছে আরেক বৃহৎ কফি উৎপাদনকারী কলম্বিয়ায়। ব্রাজিলের এই প্রতিবেশী দেশেও কফি উৎপাদন কমেছে। এর সঙ্গে সার ও পরিবহন খরচ বাড়ায় তা কফির দাম বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলছে। ব্রাজিল–কলম্বিয়ার কিছু খামারে এবার ফলন কমপক্ষে ৫০ শতাংশ কম হবে বলে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বাজার বিশ্লেষকেরা শুরুতে বলেছিলেন, চলতি বছরে প্রায় ৪৮৭ লাখ ব্যাগ আরবিকা কফির উৎপাদন হতে পারে। প্রতিটি ব্যাগে ১৩২ পাউন্ড কফি থাকে। তবে মৌসুমের শেষ দিকে এসে সেই ধারণা বদলে গেছে। এখন দেশটির সরকারি হিসাবে বলা হচ্ছে, চলতি বছর মাত্র ৩৫৭ লাখ ব্যাগ কফি উৎপাদন হতে পারে।
ইন্টারন্যাশনাল কফি সংস্থা জানিয়েছে, বছরের শেষ নাগাদ বিশ্বজুড়ে কফির ব্যবহার বাড়বে। ফলন কম হওয়ায় এ সময় কফির চাহিদা সরবরাহকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। সব মিলিয়ে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে কফির দাম রেকর্ড উচ্চতায় গিয়ে ঠেকতে পারে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।